বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কলকাতা: অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
গত ৪ অগস্ট ক্রিসিলের রিপোর্টে বলা হয়েছে দেশে পেঁয়াজের যে চাহিদা রয়েছে, সেই অনুযায়ী উৎপাদন হয়নি। চাহিদা ও জোগানের এই ফারাকের কারণে সেপ্টেম্বর মাস থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করতে পারে। ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে পারে পেঁয়াজ।
তবে ক্রিসিলের ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, পেঁয়াজের দাম বাড়লেও ২০২০ সালে যে পরিস্থিতি হয়েছিল, ততটাও আশঙ্কা নেই। ২০২০ সালের নভেম্বর মাস নাগাদ পেঁয়াজের দাম দেশের কোথাও কোথাও কেজি প্রতি ১২০ টাকা বা তার বেশি হয়ে গিয়েছিল।
ক্রিসিলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ বছর পেঁয়াজ উৎপাদনের ব্যাপারে তারা যে গ্রাউন্ড রিপোর্ট এখন পর্যন্ত পেয়েছে, তা ২০২০ সালের মতো না হলেও উদ্বেগের কারণ রয়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে খুচরো বাজারে তা টের পাওয়া যাবে।
ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।’ এর আগে সরকার সরবরাহ বাড়াতে নিজস্ব মজুত থেকে তিন লাখ টন পেঁয়াজ বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেয়।
এ বছর মহারাষ্ট্রে পেঁয়াজের ফলন এত বেশি হয়েছিল যে কৃষকরা প্রতি কেজি মাত্র দুই বা তিন টাকা দর পেয়েছেন। ক্ষেতের পেঁয়াজ নষ্ট করে ফেলছেন কৃষকরা।
মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার কৃষক কৃষ্ণ ডোংরে এক কৃষক পেঁয়াজ চাষের জমিতে হোলিকা দহন ‘অনুষ্ঠান’ করেছিলেন। তার সেই ‘অনুষ্ঠান’-এর ছবিসহ খবর বেশ কিছু জাতীয় সংবাদপত্রে ছাপানো হয়েছে। সামাজিক-মাধ্যমে ভাইরালও হয়েছিল সেই ‘দহন’-এর ছবি।