কাস্টমস-এর যাবতীয় কার্যক্রম অনলাইনে করার আশ্বাস দিলেন নবাগত কমিশনার
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি পণ্যভর্তি নয় সহস্রাধিক কন্টেইনার বছরের পর বছর ধরে আটকে আছে। এসব কন্টেইনার নিলাম ও ধ্বাংসযোগ্য পণ্যে ভর্তি।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের নবনিযুক্ত কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন-এর সাথে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের মত বিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ নিলামযোগ্য আমদানি পণ্যের নিলাম এবং পচনশীল পণ্যের ধ্বংস কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হলে যথাসময়ে রাজস্ব আদায় হবে, কন্টেইনারসমূহ পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। বন্দরেও কন্টেইনার জট সৃষ্টি হবে না।
বুধবার কাস্টম হাউসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই মত বিনিময় সভায় অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন খান, পরিচালকবৃন্দ মামুনুর রশিদ, খাইরুল আলম (সুজন), এস এম এনামুল হক, মোহাম্মদ আসলাম, মোহাম্মদ রাশেদ, কফিল উদ্দিন আহমেদ, এবং মো. এ এইচ এম কামাল উপস্থিত ছিলেন।
বিএসএএ নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে কাস্টমস কমিশনার জানান, কাস্টম হাউস কার্যক্রম ৭ দিন x ২৪ ঘন্টা চালুর রাখার সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। সভায় এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ অভিমত দেন যে ৭ দিন x ২৪ ঘন্টা চালু থাকার পুরোপুরি ফল পেতে হলে অন্যান্য সংস্থাকেও ৭ দিন x ২৪ ঘন্টা কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। যেমন, শুক্রবার, শনিবার ও সরকারি ছুটি বিশেষ করে দুই ইদের ছুটিতে BGMEA, BKMEA ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যবহারকারীরা তাদের কার্যক্রম ৭ দিন x ২৪ ঘন্টা হিসেবে চালু রাখলে এর সুফল পাওয়া যাবে।
বিএসএএ এর চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ কাস্টমস এবং বন্দরের সাথে শিপিং এজেন্টদের পুঞ্জিভুত সমস্যাসমূহ দ্রুত নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
মত বিনিময় সভায় জানানো হয়: কিছুদিন যাবত ASYCUDA তে দাখিলকৃত DG Cargo সংক্রান্ত IGM নৌবাহিনী কর্তৃক প্রদত্ত ছাড়পত্র কাস্টমস এবং বন্দরের নিকট অস্পষ্ট থাকে এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকটও IGM সংশোধন করা সম্ভব হয় না। যার কারণে বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উক্ত DG Cargo প্রত্যাখ্যাত হয়ে ফেরত চলে যায়। কমিশনার মহোদয়ের পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বন্দর, কাস্টমস, নৌবাহিনী সহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের যৌথ অংশগ্রহনের মাধ্যমে উক্ত সমস্যাটি সমাধান হয় এবং IGM সংশোধন ফিও রহিত করা হয় যার জন্য এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কমিশনার মহোদয়কে ধন্যবাদ জানানো হয়। এসোসিয়েশন আশা করে যে এখন থেকে উক্তরুপ সমস্যা থাকবে না এবং কোন কন্টেইনারও ফেরত যাবে না।
MLO Code: MLO Code সহজীকরণ ও দ্রুততার সাথে প্রদানের ব্যাপারে কমিশনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
Online Final Entry: জাহাজ বহিনোঙর/কুতুবদিয়া আগমনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে শিপিং এজেন্ট, কাস্টম প্রতিনিধি ও সার্ভেয়ারকে সংশ্লিষ্ট দলিলাদিসহ জাহাজে স্বশরীরে গিয়ে Final Entry দাখিল করতে হয়। দূরত্বের কারণে সবসময় জাহাজে স্বশরীরে গমন করে Final Entry দাখিল করা দূরহ হয়। তাছাড়া দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সময় স্বশরীরে গমন করতঃ সমুদয় কার্য-সম্পাদন ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু ফাইনাল এন্ট্রি সংক্রান্ত কার্যাবলী সময়মতো সম্পাদন করা না হলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জরিমানা আরোপ করা হয়।
উল্লেখ্য যে নৌবাণিজ্য দপ্তর, শিপিং মাস্টারের কার্যালয় সহ অন্যান্য দপ্তরের কার্যাদি Online এ সম্পাদন করা হচ্ছে।
Final Entry সহ কাস্টমসের সমুদয় কার্যাদি Online এ সম্পাদনের ব্যাপারে এসোসিয়েশনের প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যাপারে কমিশনার মহোদয় আশ্বাস প্রদান করেন।