- প্রধান সমন্বয়কারি শামসুজ্জামান (রাসেল)
- জাহাজ মালিকদের দু’গ্রুপের সাথে বৈঠক
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: বাল্কহেড এবং সিরিয়াল বহির্ভূত লাইটার জাহাজে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস রোধে ৮ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি কাজ শুরু করেছে ইতঃমধ্যে।
কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ শিপহ্যান্ডলিং এন্ড বার্থ অপারেটরস এসেোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এ কে এম শামসুজ্জামান (রাসেল)কে। পণ্যের এজেন্ট সমিতির এক সভা থেকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন পণ্যের এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপাতি ও ডব্লিউটিসিরি কো-কনভেনর বেলায়েত হোসেন, ইনল্যান্ড ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশন অব চিটাগাং (আইভোয়াক)‘র সভাপতি হাজি শফিক আহম্মদ, পণ্যের এজেন্ট এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর, পণ্যের এজেন্ট ও ডব্লিউটিসির ইসি সদস্য আজিজুররহমান, পণ্যের এজেন্ট ও ডব্লিউটিসির ইসি সদস্য প্রদীপ চক্রবর্ত্তী, কোয়াবের পরিচালক ও ডব্লিউটিসির ইসি সদস্য জাহাঙ্গীর দোভাষ এবং ডব্লিউটিসির উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার।
১৯ জুলাই সভাটি হয় ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল (ডব্লিউটিসি)’র গেজেট নীতিমালা বাস্তবায়নে।
নীতিমালা অনুসারে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য লোড দেয়ার কথা (ডব্লিউটিসি)’র সিরিয়ালের আওতায় চলাচলকারী নৌযানে।কিন্তু সেটাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেপরোয়াভাবে পণ্য পরিবহন করছেন পণ্যের এজেন্টরাই। বালি বহনের জন্য নির্মিত বাল্কহেড দিয়েও পণ্য খালাস ও পরিবহন করা হয় মাদারভেসেল থেকে। এতে কিছু পণ্যের এজেন্ট প্রচুর লাভবান হলেও সাধারণ জাহাজ মালিকরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন। অপরদিকে, শান্ত নদীপথে যাতায়াতের জন্য তৈরি বাল্কহেড সমুদ্রে চলাচলে চট্টগ্রাম বন্দরকে ভয়াবহ ঝুঁকিতে ফেলেছে।
সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি মনিটরিং এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে পত্র দেয়া হয়েছে অনেকবার। কয়েক দফায় সভাও করা হয়েছে। ডব্লিউটিসির সিরিয়াল বহির্ভূত কোন নৌযানে পণ্য না দেয়া নিশ্চিত করতে শিপহ্যান্ডলিং অপারেটরদের নির্দেশ দেয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।
অপরদিকে, কতিপয় ক্যারিয়ারের মধ্যে শুরু হয় ব্যবসা হাতিয়ে নেয়ার প্রতিযোগিতা। ডব্লিউটিসির সিরিয়াল বহির্ভূত জাহাজে তারা কমমূল্যে পণ্য পরিবহন করেন। নিজেদের অশুভ প্রতিযোগিতায় কারো কারো ব্যবসা লাটে ওঠার উপক্রম হয়েছে।
এসব প্রেক্ষাপটে পণ্যের এজেন্টরা সভায় মিলিত হয়ে সমন্বয় কমিটি করে। কমিটির কার্যক্রমকে সমর্থন দিয়েছে বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশন (বিসিভোয়া), কোস্টাল শিপ ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) এবং ডব্লিটিসি। জাহাজ মালিকদের দু’টি গ্রুপ পৃথকভাবে বৈঠক করেছে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ শিপহ্যান্ডলিং এন্ড বার্থ অপারেটরস এসেোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এ কে এম শামসুজ্জামান (রাসেল) এর সাথে। ইঞ্জিনিয়ার মেহবুব কবির, খুরশিদ আলম, মো. ইকবাল হোসেন চেয়ারম্যান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমন্বয় কমিটিসূত্রে জানা যায়, কমিটির কাজ সীমিতভাবে শুরু হয়ে গেছে। তাতে প্রতিদিন বাড়ছে ডব্লিউটিসি সিরিয়ালে নৌযানের চাহিদা। কয়েকদিনের মধ্যে পুরোদমে মনিটরিং চলবে কর্ণফুলী, মেঘনাসহ বিভিন্ন স্থানে সিরিয়াল বহির্ভূত নৌযান এবং বাল্কহেডের ব্যাপারে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বহির্নোঙরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস হয় প্রধানত লাইটার জাহাজ দিয়ে। ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল (ডব্লিউটিসি) তাদের সিরিয়ালে থাকা জাহাজ বরাদ্দ করে লাইটারিংয়ের জন্য। কতিপয় আমদানিকারকের পক্ষে তাদের পরিবহন এজেন্টরা অধিক মুনাফার লোভে সিরিয়াল বহির্ভূত লাইটার এবং ঝুঁকিপূর্ণ বাল্কহেড দিয়ে বহির্নোঙর থেকে মাদার ভেসেলের পণ্য পরিবহন করছেন। তাতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮০০ লাইটার জাহাজ অলস নোঙর করে থাকে ।