আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞা আবারও আটকে দিল আদালত। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের জারি করা এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়েছেন মার্কিন জেলা বিচারক অ্যালিসন বুরোস।
গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের নির্দেশ দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম এক চিঠিতে হার্ভার্ডকে জানিয়ে দেন, তারা আর কোনো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। একইসঙ্গে স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রামের আওতায় থাকা আইভি লিগ প্রতিষ্ঠান হিসেবে হার্ভার্ডের স্বীকৃতিও বাতিল করা হয়। নির্ধারিত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ছয়টি শর্ত পূরণের নির্দেশও দেয় প্রশাসন।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হয়। আদালতে দায়ের করা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিবাসন পরিষেবা পরিচালক মৌরিন মার্টিন বলেন, এই সিদ্ধান্ত ক্যাম্পাসে আতঙ্ক, বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা তৈরি করেছে। শুধু বিদেশি নয়, মার্কিন শিক্ষার্থীরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং বিকল্প বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজছেন। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতে হার্ভার্ডের শিক্ষার মান ও পরিবেশ একই থাকবে না বলেও মত দেন তিনি।
এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিচারপতি অ্যালিসন বুরোসের হস্তক্ষেপে কিছুটা স্বস্তি পেল হার্ভার্ড। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কর্তৃক নিয়োজিত এই বিচারকের নির্দেশেই আগের নিষেধাজ্ঞাটি স্থগিত ছিল, যা এবার আরও বাড়ানো হলো।
উল্লেখযোগ্যভাবে, হার্ভার্ডে পড়ছেন বিশ্বের নানা দেশের অভিজাত পরিবারের সদস্যরাও। যেমন, ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির কন্যা ক্লিও কার্নি এবং বেলজিয়ামের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী রাজকুমারী এলিজাবেথ বর্তমানে হার্ভার্ডের শিক্ষার্থী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বারবার হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা আগেও দিয়েছে হার্ভার্ড। প্রশাসনের হুমকির মুখেও তারা আপসহীন।
👉 যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বাধীনতা নিয়ে আপনার মতামত কী? মন্তব্য করুন নিচে।
📢 এ ধরনের আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও নীতিনির্ধারণ সংক্রান্ত আরও খবর পেতে আমাদের ফলো করুন।