Home আইন-আদালত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস আরও চার মামলায় গ্রেপ্তার

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস আরও চার মামলায় গ্রেপ্তার

বিজেনসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যা ও পুলিশের কাজে বাধাসহ একাধিক মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে নতুন করে চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ ভার্চ্যুয়াল শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। এ সময় আসামি চিন্ময় দাস কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। শুনানিতে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া পুলিশের কাজে বাধা, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলার চার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তারা তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।

এদিন আদালত প্রাঙ্গণ ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়।

এর আগে সোমবার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয় আদালত।

গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় জামিন না মঞ্জুর হওয়ার পর প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় চিন্ময় দাসের অনুসারীরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের সময় রঙ্গম কমিউনিটি হল সংলগ্ন এলাকায় আইনজীবী আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

এই ঘটনায় নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণসহ ছয়টি মামলায় ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ২১ জন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

চিন্ময় দাস বর্তমানে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পাঁচ মাস ধরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তিনি একসময় ইসকনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

আইনের শাসন ও বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা ফিরুক: চিন্ময় দাসের ঘটনাবলি শুধু একটি বিচ্ছিন্ন অপরাধের চিত্র নয়; এটি আমাদের রাজনৈতিক-সামাজিক পরিবেশে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা, আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন এবং সহিংস রাজনীতির নতুন ধারারও ইঙ্গিত দেয়।

আইনজীবী হত্যার মতো নৃশংস ঘটনার বিচার দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে না হলে জনগণের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা আরও দুর্বল হবে। একইসঙ্গে এমন ঘটনা প্রমাণ করে—উগ্র মতবাদ, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে দুর্বৃত্তায়নের স্থান তৈরি হলে, তা পুরো সমাজকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়।