আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিপাইনের নৌবাহিনী আজ (২০ জুন) একটি বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ১০ বিলিয়ন পেসো (প্রায় ১৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি ২১০০ কোটি টাকা)। দেশটির ইতিহাসে অন্যতম বড় এই মাদকবিরোধী অভিযানে নৌবাহিনীর সদস্যরা একটি সন্দেহজনক জলযান থামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মেথামফেটামিন (স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘শাবু’) উদ্ধার করে।
মেট্রো ম্যানিলার উপকূল থেকে কিছু দূরে অভিযানটি চালানো হয়। নৌবাহিনীর মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জোনাথন জাতা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে অংশ নেওয়া বাহিনী সমুদ্রে চলমান একটি সন্দেহজনক স্পিডবোটকে থামিয়ে তল্লাশি চালালে, তার ভেতর থেকে বহু প্লাস্টিক প্যাকেটে মোড়ানো উচ্চমানের ‘ক্রিস্টাল মেথ’ পাওয়া যায়।
নৌবাহিনী জানায়, অভিযানে পাঁচজন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশই ধারণা করা হচ্ছে চীনা নাগরিক। এদের সবার বিরুদ্ধে মাদক পাচার ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হবে।
ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গিলবার্ট তেওদোরো সাংবাদিকদের বলেন, “এই অভিযান আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর চতুরতা এবং পেশাদারিত্বেরই প্রমাণ। এটি স্পষ্টভাবে বোঝায়, ফিলিপাইন কোনোভাবেই মাদক কারবারিদের জন্য নিরাপদ নয়।”
দেশটির কোস্ট গার্ড, মাদকবিরোধী সংস্থা এবং পুলিশ বাহিনী যৌথভাবে এ অভিযান চালায়। ধারণা করা হচ্ছে, এই চালানটি আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের অংশ এবং ফিলিপাইনকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে মাদক অন্যান্য দেশে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল।
জাতীয় মাদকবিরোধী সংস্থার (পিডিইএ) প্রধান উইলকিনস ভিলারিয়াল বলেন, “চলতি বছরের মধ্যে এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এতে বোঝা যায়, আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্র এখনও সক্রিয়ভাবে আমাদের জলসীমা ব্যবহার করে মাদক পাচারের চেষ্টা করছে।”
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র ঘটনাটিকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে বড় হুমকি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং অভিযানে অংশ নেওয়া বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মাদকদ্রব্যগুলো এখন পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে এবং আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক মামলা প্রক্রিয়াধীন। সরকার জানিয়েছে, এই অভিযান মাদকচক্রের বিরুদ্ধে তাদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিরই প্রতিফলন।
 একটি বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ১০ বিলিয়ন পেসো){kind=link}