বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন সেবাখাতে নতুন ট্যারিফ (মাশুল) আদায় এক মাসের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। নৌপরিবহন উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের আপত্তি এবং বন্দর কার্যক্রমের সমন্বয়কে বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর অডিটোরিয়ামে ‘কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট ম্যানেজমেন্ট: প্রবলেমস, প্রসপেক্টস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এক কর্মশালার পর সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। কর্মশালাটি আয়োজন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।
এর আগে সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৩টি খাতে নতুন ট্যারিফ কার্যকর করে। নতুন এই মাশুলে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত খরচ বৃদ্ধি পায়। প্রায় ৪০ বছর পর এই ট্যারিফ বৃদ্ধি হলেও ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র বিরোধের সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এটি রফতানিমুখী শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদেরই ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
কর্মশালায় অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা অন্তত ছয় মাস ট্যারিফ আদায় স্থগিত রাখার দাবি জানান। এ বিষয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, “ট্যারিফ থেকে আরও এক মাসের রিলিফ দেওয়া হচ্ছে। বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। তার পরামর্শেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়নে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি বলেন, “দুনিয়ার অনেক বড় অপারেটর শতাধিক বন্দর পরিচালনা করছে। এখানে বিদেশি বিনিয়োগ মানে বন্দর বিক্রি নয়, বরং আন্তর্জাতিক মানে পরিচালনা করা। এতে কারও চাকরি যাবে না।”
বে-টার্মিনাল প্রসঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, “ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হবে। বিশ্বব্যাংক ইতোমধ্যেই অর্থ দিয়েছে। এই সরকারের মেয়াদেই কাগজপত্রের কাজ শেষ হবে, পরবর্তী সরকার কাজ শুরু করবে।”
কর্মশালায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ নৌপরিবহন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।