বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: ইসরায়েলের কারাগারে আটক বাংলাদেশের খ্যাতনামা আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে তুরস্ক। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শুক্রবার সকালে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে উল্লেখ করা হয়, তুরস্কের কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন—আজই (শুক্রবার) বিশেষ বিমানযোগে শহিদুল আলমকে আঙ্কারায় নিয়ে আসা সম্ভব হতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনো শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারেননি তুর্কি কর্মকর্তারা। এ তথ্য বৃহস্পতিবার রাতে আঙ্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমানুল হক জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পোস্টে আরও বলা হয়, শহিদুল আলম ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হাতে অবৈধভাবে আটক হওয়ার পরপরই জর্ডান, মিসর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁর মুক্তির জন্য অবিলম্বে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে বলা হয়।
বাংলাদেশের এই তিন মিশনই শহিদুল আলমের মুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখছে বলে পোস্টে উল্লেখ করা হয়।
‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’ অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন শহিদুল আলম
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম দৃক গ্যালারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে এবং গাজায় আরোপিত নৌ অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে “ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন”-এর নৌযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন।
এই অভিযানে আরও যুক্ত ছিল “থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা” নামের আরেক মানবিক উদ্যোগের আটটি নৌযান। সব মিলিয়ে নয়টি নৌযানের এই বহরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও মানবাধিকারকর্মীরা অংশ নেন।
গত বুধবার ইসরায়েলি সেনারা ওই নৌবহরে আক্রমণ করে এবং সেখানে থাকা সকল অধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও নাবিকদের আটক করে নিয়ে যায়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের শহিদুল আলম।
আশার আলো
তুরস্ক সরকারের মধ্যস্থতায় শহিদুল আলমের মুক্তি সম্ভব হতে পারে বলে কূটনৈতিক সূত্রে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকার এবং বিদেশে অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনগুলো এই ঘটনায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে বলে জানা গেছে।
🔹 গাজার পথে মানবিক নৌযাত্রায় অংশ নিতে গিয়ে ইসরায়েলের হাতে আটক বাংলাদেশের এই আলোকচিত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রত্যাশায় দেশবাসী এখন তাকিয়ে আছে আঙ্কারার কূটনৈতিক তৎপরতার দিকে।
