হেলথ ডেস্ক:
চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে দীর্ঘদিন ধরে যৌন দৃশ্য কোরিওগ্রাফ করার অভিজ্ঞতা থেকে প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চারটি শিক্ষা তুলে ধরেছেন খ্যাতনামা ‘ইনটিমেসি কো-অর্ডিনেটর’ ইটা ও’ব্রায়েন। তাঁর মতে, ভালোবাসা আর যৌনতা কেবল শারীরিক নয়, বরং একে গভীরভাবে মানসিক এবং আবেগঘন একটি সংযোগ হিসেবে বুঝলে তবেই তা হয়ে ওঠে পরিপূর্ণ।
‘ইনটিমেসি: কানেকশন খোঁজার এক মাঠপর্যায়ের নির্দেশিকা’ নামের নতুন বইয়ে তিনি দেখিয়েছেন, কেবল শয্যায় যাওয়ার মুহূর্তে নয়, বরং তার অনেক আগেই শুরু হয় সার্থক যৌন সম্পর্কের প্রস্তুতি। তাঁর এই চারটি সহজ অনুশীলন যে-কোনো যুগলকে আরও কাছাকাছি আনতে পারে।
১. শুরু হোক পায়ের মালিশ দিয়ে
যৌনতা মানে কেবল আকর্ষণ নয়—নিজের শরীরের সঙ্গে বন্ধুত্বও। ইটা পরামর্শ দেন, পায়ের মালিশ দিয়ে শুরু করুন। এতে শরীর মাটি স্পর্শ করার অনুভবে স্থিত হয়, যা ঘনিষ্ঠতার জন্য সহায়ক।
পা যেন ময়দার মতো, এমন কল্পনা করে আঙুল দিয়ে মালিশ করতে হবে গোড়ালি ও আঙুল পর্যন্ত। তর্জনী দিয়ে ‘ক্যাটারপিলার ওয়াক’ পদ্ধতিতে তলার হাড়ের মাঝখানে চাপ প্রয়োগ করলে গভীর আরাম মেলে। মালিশ চলাকালেই শরীরের প্রতিক্রিয়া লক্ষ করুন।
২. নিয়মিত ও খোলামেলা কথোপকথন
একবার কথা বললেই যথেষ্ট নয়। যৌন সম্পর্কের ধরন, পছন্দ ও অপ্রিয়তা সময়ের সঙ্গে বদলায়। তাই ইটা পরামর্শ দেন, “আমরা যেন নিয়মিত জিজ্ঞেস করি, আমি এখন ঠিক কেমন অনুভব করছি?”
ডিনার টেবিলে ফোন না নেওয়া কিংবা নির্দিষ্ট সময় প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকা—এসব ছোট সিদ্ধান্ত গভীর সংযোগ গড়তে সাহায্য করে। শারীরিক সম্পর্কের সময়ও কথা বলার মাধ্যমে চাহিদা ও অনুভূতির প্রকাশ বাড়ে, যা সম্পর্ককে করে আরও গভীর।
৩. মন দিয়ে দেখুন, বলুন আপনি কী লক্ষ্য করলেন
আপনার সঙ্গীকে দেখে প্রতিদিন কিছু না কিছু নতুন খুঁজে বের করুন। “আমি লক্ষ্য করছি…” দিয়ে শুরু করে এক মিনিট বলুন, কী দেখছেন, কী অনুভব করছেন—যেমন পোশাক, চোখের রঙ কিংবা চুলের ধরন।
পরবর্তী ধাপে বলুন, “আমি ভাবছি…”—এতে মানসিক সংযোগ বাড়ে। সঙ্গী কী ভাবছেন, কোন বিষয় নিয়ে চিন্তিত, বা তাঁর সৃষ্টিশীলতা এখন কোথায়—এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া সম্পর্ককে আরও নিবিড় করে তোলে।
৪. মনোযোগ দিয়ে শুনুন, এমনকি সাধারণ কথাও
প্রতিদিনের “দিনটা কেমন গেল?” প্রশ্নকে গুরুত্ব দিন। দ্রুত উত্তর দিয়ে পাশ কাটিয়ে না গিয়ে একটু থেমে শুনুন, কী বলছেন সঙ্গী।
“কেমন আছেন এখন?”, “কাজের অবস্থা কেমন?”, “শরীর কেমন লাগছে?”—এই ধরনের প্রশ্ন করে গভীর সংলাপের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব। এরপর আসতে পারে জীবন সম্পর্কে বড় প্রশ্ন—“দশ বছর পর আপনি নিজেকে কোথায় দেখেন?”। এমন আন্তরিক শ্রবণ ও উপলব্ধি তৈরি করে সত্যিকারের ঘনিষ্ঠতা।
ইটা ও’ব্রায়েনের বইটি ২০২৫ সালের ৫ জুন ইবুরি প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
ভালবাসার গভীরতা মাপে সত্যিকারের ঘনিষ্ঠতা। ইতা ও’ব্রায়েনের এই চারটি অনুশীলন পাল্টে দিতে পারে আপনার সম্পর্কের রসায়ন। এখনই পড়ুন, প্রিয়জনের সঙ্গে শেয়ার করুন।
🔗 ঘনিষ্ঠতার গোপন পাঠ এখন আপনার হাতের মুঠোয়।