Home আন্তর্জাতিক চীনের প্রতি পরোক্ষ বার্তা: ঐক্যবদ্ধ হলো জি-৭

চীনের প্রতি পরোক্ষ বার্তা: ঐক্যবদ্ধ হলো জি-৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিশ্বের সাতটি ধনী গণতান্ত্রিক দেশের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা কানাডার রকি পর্বতমালায় অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে বৈশ্বিক “অর্থনৈতিক অসমতা” প্রতিরোধে একমত হয়েছেন। যদিও চীনের নাম স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘোষণার লক্ষ্যবস্তু চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত বাণিজ্যনীতি ও রপ্তানি ভর্তুকি।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি ও জাপানের অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের নিয়ে গঠিত জি-৭, বৃহস্পতিবার সম্মেলনের শেষে যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে, সেখানে পূর্বের মতো মুক্ত বাণিজ্যের প্রবল পক্ষে বক্তব্য ছিল না। ইউক্রেন সংকট নিয়েও বিবৃতির ভাষা ছিল তুলনামূলক মৃদু।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা এমন অ-মার্কেটভিত্তিক নীতিমালার ওপর নজর রাখব, যা বৈশ্বিক বাণিজ্যে অসমতা তৈরি করে।” যদিও বিবৃতিতে ‘চীন’ শব্দটি অনুপস্থিত, তবু এই ভাষার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত নীতিমালা, যেগুলো সাধারণত চীনের সঙ্গে সম্পর্কিত।

পুরো বৈঠকজুড়ে আলোচনায় চীনের রপ্তানি ভর্তুকি, মুদ্রানীতির হস্তক্ষেপ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে গুরুত্ব পেয়েছে।

অন্যদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে জি-৭ জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি না হলে রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। যদিও গত বছরের তুলনায় এবার সে বক্তব্যও ছিল বেশ মিতভাষী।

এই বছরের অর্থমন্ত্রী সম্মেলন ছিল আগের বিদেশমন্ত্রী সম্মেলনের চেয়ে অনেক বেশি সৌহার্দ্যপূর্ণ। মার্চ মাসে কানাডায় অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার ওপর কঠোর শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন এবং রসিকতা করে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য বলেও মন্তব্য করেছিলেন।