Home Third Lead দ্বিতীয় শ্রীলঙ্কা হওয়ার দিকে পাকিস্তান

দ্বিতীয় শ্রীলঙ্কা হওয়ার দিকে পাকিস্তান

 চিকেনের কেজি ৬৫০ রুপি, গ্যাসের দাম ছুঁয়েছে ১০,০০০ রুপি

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের খাঁড়া নামল পাকিস্তানের উপরেও। বলা চলে দ্বিতীয় শ্রীলঙ্কা হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে দেশটি। সাধারণ পাক নাগরিকেরা মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কায় রীতিমতো কাহিল। নতুন বছরে বিভিন্ন দেশগুলি যখন উৎসবে মেতেছে, তখন সাধারণ পাকিস্তানিরা লড়াই করছেন পাতের রুটি জোগাড় করতে। মুদ্রাস্ফীতির হার পাকিস্তানে বর্তমানে আকাশ ছোঁয়া। সাধারণ মানুষ মৌলিক সুযোগ-সুবিধা পর্যন্ত পাচ্ছেন না। পাশাপাশি গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারও প্রতিনিয়ত কমছে। মনে রাখতে হবে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সময় সে দেশেও বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার তলানিতে এসে ঠেকেছিল।

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নাগাল ছাড়িয়েছে

দরিদ্র তো বটেই, এমনকি মধ্যবিত্ত শ্রেণিও পাকিস্তানে ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। কারণ, একাধিক সংস্থায় কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন না। খোদ পাকিস্তানের রেল কর্মচারীরা পর্যন্ত সময়ে পেনশন পাচ্ছেন না। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে পেট্রল-ডিজেল, নানা খাবারের দাম। পাশাপাশি পাকিস্তানের উপর ঋণের বোঝাও ক্রমশ বাড়ছে।

পাকিস্তানের অর্থনীতি ক্রমশ খারাপ
পাকিস্তানের অর্থনীতি ক্রমশ খারাপ পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে। কয়েকটি চিত্রতেই তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ডনের রিপোর্ট অনুযায়ী, চিকেনের কেজি পাকিস্তানে দাঁড়িয়েছে৬৫০ পাকিস্তানি রুপি, নিকট ভবিষ্যতে এই দাম হতে পারে ৮০০ পাকিস্তানি রুপি। অন্যদিকে, পাকিস্তানে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম ছুঁয়েছে ১০,০০০ পাকিস্তানি রুপি। গ্যাসের সংকট দেখা যেতে পারে এই আশঙ্কায় পাকিস্তানে প্লাস্টিকের প্যাকেটে করেও গ্যাস ভরে রাখছে সাধারণ নাগরিকরা। যা কিনা যথেষ্ট বিপজ্জনক।

ব্যাপক দাম বেড়েছে আটা, চিনি, ঘি-র

পাকিস্তানের নাগরিকরা মৌলিক সুবিধাও পাচ্ছেন না। ডনের খবরে বলা হয়েছে, গমের সংকট পাকিস্তানে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। সহজ কথা হল, এমন চলতে থাকলে এক টুকরো রুটি পাতে জোগাড় করাও কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের। এছাড়া পাকিস্তানে চিনি ও ঘি-এর দামও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে।

বিদ্যুতের আকাল, কড়া পদক্ষেপ

পাকিস্তানে ভয়াবহ আকাল দেখা দিয়েছে বিদ্যুতেরও। ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত বৈদ্যুতিক পাখা এবং বাল্ব তৈরি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের সরকারের তরফে। এছাড়া ইলেকট্রিক বাঁচাতে রাত সাড়ে ৮টার পর সব বাজার বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ম্যারেজ হলের ক্ষেত্রে এই সময় সর্বোচ্চ করা হয়েছে রাত১০টা পর্যন্ত। শপিং মলের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশ বলবৎ করা হয়েছে।