- রাঙ্গাবালিতে ৮ গ্রাম প্লাবিত
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
বুধবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় সরকারের সবশেষ প্রস্তুতি নিয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এনামুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৩০৭ মানুষকে ১৪ হাজার ৬৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৪৩২টি গবাদিপশুকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় ফণির সময় ১৮ লাখ এবং বুলবুলের সময় ২২ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছিল।
জরুরি ওষুধসহ মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত আছে জানিয়ে বলেন, যারা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন তাদের মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হয়েছে। আশা করছি, আমরা আম্পান থেকে রক্ষায় সর্বোচ্চ সফলতা পাব। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করে ১৪ হাজার ৩৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫৭ লাখ ১৩ হাজার ৬০৭ জন মানুষকে রাখা সম্ভব। তা না করে দূরত্ব নিশ্চিত করতে অর্ধেক লোক রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় ৫ থেকে ৬ ফুট পানি বেড়েছে। এতে নিম্নাঞ্চল ও অরক্ষিত বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে ৮ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও বেঁড়িবাধের বাইরে থাকা কয়েক হাজার বাড়ি-ঘর পানিতে ডুবে গেছে। এদিকে পানিবন্দী লোকদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
প্লাবিত গ্রাম গুলো হচ্ছে- রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের চরকাশেম, মাঝের চর, চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা, চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের বিবির হাওলা, গরুভাঙ্গা, মধ্য চালিতাবুনিয়া, উত্তর চালিতাবুনিয়া ও লতার চর।
আবহাওয়ার ৩৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ বুধবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়টি বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে সাগরদ্বীপের পূর্বপাশ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
সতর্ক সংকেত
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ (দশ) নম্বর পুনঃ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত (পুনঃ) ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ০৯ (নয়) নম্বর পুনঃ ০৯ (নয়) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৯ (নয়) নম্বর পুনঃ ০৯ (নয়) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।