বিনোদন ডেস্ক:
বহু আলোচিত বলিউড তারকা করিশ্মা কাপুর ও অভিষেক বচ্চনের বিয়ের ঘোষণা এসেছিল ২০০২ সালে। অভিষেকের পিতা অমিতাভ বচ্চনের ৬০তম জন্মদিনে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এনগেজমেন্ট হয়। সেই সময়ের সবচেয়ে আলোচিত জুটি হিসেবে ধরা হচ্ছিল তাদের। কিন্তু মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। কেন?
মুম্বইয়ের বিনোদন দুনিয়ার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, এই সম্পর্ক ভাঙার মূল কারণ ছিল দুই পরিবারের ভিন্নমত ও আর্থিক নিরাপত্তা ঘিরে টানাপোড়েন।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, করিশ্মার মা ববিতা চেয়েছিলেন, বিয়ের আগে অভিষেকের পরিবারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের আইনি নিশ্চয়তা দেওয়া হোক। বিষয়টি প্রিন্যাপ বা বিবাহ-পূর্ব চুক্তির মতো ছিল, যা বচ্চন পরিবার ভালোভাবে নেয়নি। অপরদিকে, জয়া বচ্চনের ইচ্ছা ছিল, করিশ্মা বিয়ের পর অভিনয় থেকে সরে আসবেন। কিন্তু করিশ্মা এবং তার মা সে সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকৃতি জানান।
দুই পরিবারের মধ্যে এই মতবিরোধ এতটাই গভীর হয়ে ওঠে যে শেষ পর্যন্ত ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়।
তখন করিশ্মা কাপুর বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হলেও অভিষেকের ক্যারিয়ার তখনো গড়ে উঠছিল। কিছু ব্যর্থ ছবির কারণে অভিষেক আর্থিকভাবে চাপেও ছিলেন বলে তখনকার সংবাদে উল্লেখ ছিল। অনেকেই মনে করেন, এই বাস্তবতা থেকেও করিশ্মার পরিবার ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল।
পরবর্তীতে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে করিশ্মা ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেন। তবে সেই সম্পর্কও টেকেনি। ২০১৬ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। অভিষেক বচ্চন ২০০৭ সালে বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাইকে বিয়ে করেন এবং এখনো সেই সংসার টিকে আছে।
এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় কাপুর বলেন, তিনি নিজে ছিলেন ‘রিবাউন্ড’—অর্থাৎ অভিষেকের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর করিশ্মা যেন হঠাৎ করেই তাকে বিয়ে করেন।
সময় পেরিয়ে গেছে, কিন্তু করিশ্মা-অভিষেকের বিয়ের ভাঙন আজও বলিউডের আলোচিত অধ্যায় হয়ে আছে, যেখানে ভালোবাসার সঙ্গে জড়িয়েছিল পারিবারিক সম্মান, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ও আর্থিক নিরাপত্তার হিসাব।