বিনোদন ডেস্ক: ভারতের আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় শোক জানিয়েছে পাকিস্তানের নামকরা তারকারা। বৃহস্পতিবারের ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ২৪২ আরোহীর মধ্যে মাত্র একজন বেঁচে আছেন। বাকিরা সবাই প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই। দুর্ঘটনাকবলিত বিমানে ছিলেন ঈদের ছুটি কাটিয়ে ফেরা প্রবাসী পরিবার, ছাত্রছাত্রী ও নতুন ভিসা পাওয়া এক যুবকও। আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই জনবহুল এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। তা গিয়ে পড়ে একটি মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের উপর, যেখানে তখন মধ্যাহ্নভোজ চলছিল।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর, পাকিস্তানের শোবিজ ও ক্রীড়া জগতের অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিরা খান তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন, “এতো বড় ক্ষতিতে যারা শোকাচ্ছন্ন, তাদের প্রতি আমার সমবেদনা।”
হানিয়া আমির বলেন, “এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের জন্য আমার প্রার্থনা রইল।”
সাজল আলী একে “অত্যন্ত হৃদয়বিদারক” বলে মন্তব্য করেন।
মাওরা হোসেন লিখেছেন, “ভিকটিমদের প্রিয়জনরা কী অবস্থায় রয়েছেন, তা কল্পনাও করতে পারছি না। গভীর সমবেদনা তাদের প্রতি।”
ফাহাদ মুস্তাফাও নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক জানান।
দুরেফিশান সালিম লিখেছেন, “জীবন যেখানেই হারায়, তা আমাদেরই ক্ষতি।”
জারা নূর আব্বাস লেখেন, “আজকের বাতাস ভারী হয়ে আছে।”
সংগীত জগতের তারকারাও এই ট্র্যাজেডিকে ঘিরে প্রার্থনায় অংশ নেন। হাসান রাহিম, গোহর মুমতাজ ও সংগীত প্রযোজক উমায়ের নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। অভিনেতা বিলাল কুরেশি, আসাদ সিদ্দিকি ও কিনজা হাশমিও শোক প্রকাশ করেছেন।
একজন সমালোচক মন্তব্য করলেন “ভারত তোমাদের শিল্পীদের নিষিদ্ধ করছে, আর তোমরা তাদের খবর দিচ্ছো কেন?”—এখানে পাকিস্তানি মডেল খাত্তাক লেখেন, “আমি মিথ্যা প্রচারণা, বিকৃত বয়ান এবং ভিত্তিহীন অভিযোগের বিরোধিতা করতে পারি, কিন্তু নিরপরাধ মানুষের মৃত্যুতে তো দুঃখ করতেই পারি।”
তিনি আরও লেখেন, “প্রতিটি নিরপরাধ প্রাণের রক্তের রং কিন্তু একই।”
সংগীতশিল্পী বিলাল মকসুদ জানান, আহমেদাবাদে তার কয়েকটি স্মরণীয় পারফরম্যান্স রয়েছে, ফলে এই ট্র্যাজেডি তাকে ব্যক্তিগতভাবেও নাড়া দিয়েছে।
“সব মৃত আত্মার জন্য দোয়া এবং তাদের পরিবারের জন্য শক্তি কামনা করছি,”—লিখেছেন তিনি।
এদিকে, পাকিস্তানি পেসার শাহীন আফ্রিদি টুইটে জানান, এই দুর্ঘটনার খবর শুনে তিনি গভীরভাবে ব্যথিত।
যখন উদ্ধারকারীরা বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসস্তূপে লাশ খুঁজে বেড়াচ্ছেন, তখন চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে নিস্তব্ধতা, কান্না আর প্রশ্ন। ভারতে নয়, বিশ্বজুড়েই এই দুর্ঘটনা নিয়ে চলছে আলোচনা আর শোক।