বিজেনসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সম্পদের তথ্য গোপন করেছিলেন এমন অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, নির্বাচনি বিধিমালা লঙ্ঘনের কারণে ওই সময় শেখ হাসিনার প্রার্থিতা বৈধ ছিল না। মিথ্যা তথ্য প্রদানের ঘটনায় দুদক আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা বা প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
দুদক জানিয়েছে, ২০০৮ সালের নির্বাচনের হলফনামায় শেখ হাসিনা তার স্থাবর সম্পদ এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং অস্থাবর সম্পদ তিন কোটি ৪৭ লাখ টাকা বলে উল্লেখ করেন। তবে দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তার প্রকৃত স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা এবং অস্থাবর সম্পদ পাঁচ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করা হয়েছিল বলে সংস্থার দাবি।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর টানা চার মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। তার শাসনামলের ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশ্ন ও সমালোচনা থাকলেও ২০০৮ সালের নির্বাচন ছিল তুলনামূলকভাবে গ্রহণযোগ্য। এবার সেই নির্বাচনের হলফনামা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
দুদক জানিয়েছে, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের পাশাপাশি সংস্থাটি নিজস্ব আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।