বিনোদন ডেস্ক:
চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের দালিয়ান শহরে বৃহস্পতিবার উন্মোচিত হয়েছে এক অনন্য সাংস্কৃতিক কীর্তি একটি বিশাল যান্ত্রিক কুই নিউ। চীনা পুরাণে এক পা ও এক শৃঙ্গ বিশিষ্ট এই পৌরাণিক প্রাণী শক্তি, সাহস এবং অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এই কুই নিউ শুধু ভাস্কর্য নয়, বরং এক চলমান কল্পলোকের জীবন্ত রূপ।
প্রদর্শনীটির মূল আকর্ষণ বিশালাকৃতির এই যান্ত্রিক প্রাণীটি। চোখধাঁধানো আলোর খেলা, শব্দের রেশ এবং চলাচলের নিখুঁত নিপুণতায় এটি যেন পৌরাণিক গল্প থেকে বাস্তবে নেমে এসেছে। শুধু দর্শনীয় নয়, এটি একধরনের অভিজ্ঞতামূলক বিনোদন যা দর্শকদের মুগ্ধ করে তুলেছে।
আয়োজকদের মতে, এই কুই নিউ নির্মাণের পেছনে রয়েছে একটি স্পষ্ট বার্তা পুরাণের গুরুত্ব ভুলে গেলে চলবে না। নতুন প্রজন্মকে তাদের সাংস্কৃতিক শেকড়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই এই আধুনিক মাধ্যম। কুই নিউ কেবল এক পৌরাণিক চরিত্র নয়, বরং এক সুরক্ষাকারী সত্তা, যে চীনা শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রতীক এবং অন্ধকার শক্তির বিরুদ্ধে আলোর প্রতিচ্ছবি।
যান্ত্রিক কৌশলে তৈরি এই কুই নিউ চীনা প্রযুক্তির সক্ষমতা ও নান্দনিক জ্ঞানকে একত্রে প্রকাশ করেছে। বিশাল আকৃতির শরীর, চলমান অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, নিখুঁত শব্দ পরিকল্পনা এবং দৃশ্যমান আলোকপ্রক্ষেপণ একে করে তুলেছে ব্যতিক্রমী। দর্শকরা এর সামনে দাঁড়িয়ে যেন সময়ের সীমানা পেরিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন হাজার বছর আগের চীনা কল্পজগতের রাজ্যে।
স্থানীয়রা যেমন একে নিজেদের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছে, তেমনি পর্যটকরাও এই কুই নিউ-কে দালিয়ানের অন্যতম দর্শনীয় আকর্ষণ হিসেবে দেখছেন। উৎসব-ঘেরা এই আয়োজনটি শহরের পর্যটন শিল্পেও নতুন প্রাণ এনে দিয়েছে।
এই কুই নিউ শুধু একটি স্থায়ী শিল্পকর্ম নয়, বরং এক নতুন ধারা—যেখানে অতীতের মিথ ও আধুনিক প্রযুক্তি হাত মিলিয়ে গড়ে তুলছে ভবিষ্যতের সাংস্কৃতিক অনুরণন।